শনিবার , ২১ জুন ২০২৫

প্রকাশিত: ১৫:৩৩, ১৬ জুন ২০২৫

আপডেট: ১৮:২১, ১৬ জুন ২০২৫

ভাতা জালিয়াতি ঠেকাতে যুক্তরাজ্যে নতুন আইন

ভাতা জালিয়াতি ঠেকাতে যুক্তরাজ্যে নতুন আইন
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের সরকার ২০২৬ সাল থেকে 'এলিজিবিলিটি ভেরিফিকেশন মেজার' চালু করতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে সরকারি কল্যাণভাতা গ্রহণকারীদের আর্থিক অযোগ্যতা শনাক্ত করা হবে।

তবে, এ ব্যবস্থায় ডিপার্টমেন্ট ফর ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশনস (ডিডাব্লিউপি) সরাসরি কোনো উপকারভোগীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রবেশাধিকার পাবে না কিংবা তাদের খরচের ধরণ পর্যবেক্ষণ করতে পারবে না।

সম্প্রতি প্রকাশিত একাধিক তথ্যপত্রে ডিডাব্লিউপি জানিয়েছে, নতুন ‘"পাবলিক অথোরিটিজ (ফ্রড, এরর অ্যান্ড রিকাভারি) বিল" অনুযায়ী, পরবর্তী পাঁচ বছরে ১.৫ বিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয় হবে বলে সরকারের আশা। এই বিলের অধীনে ডিডাব্লিউপি নতুন কিছু ক্ষমতা পাবে, যেমন—

১. বারবার জালিয়াতির দায়ে দণ্ডিতদের জন্য দুই বছর পর্যন্ত গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা

 

২. ব্যাংক হিসাব থেকে সরাসরি পাওনা অর্থ আদায়ের ক্ষমতা এবং

 

৩. তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ভাতা জালিয়াতি শনাক্ত করার পদ্ধতি।

 

ডিডাব্লিউপি ব্যাখ্যা করেছে, তাদের লক্ষ্য হল অনুপযুক্তভাবে ভাতা গ্রহণকারীদের শনাক্ত করা, বিশেষ করে যাদের সঞ্চয় সীমা (যেমন ইউনিভার্সাল ক্রেডিটের ক্ষেত্রে ১৬,০০০ পাউন্ড) ছাড়িয়ে গেছে। এ প্রক্রিয়ায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত কিছু তথ্য ডিডাব্লিউপি -কে সরবরাহ করবে, তবে গ্রাহকের লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করা হবে না।

যেসব প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত বা অননুমোদিত তথ্য শেয়ার করবে, তাদের বিরুদ্ধে জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ডিডাব্লিউপি স্পষ্ট করেছে, কারো বিরুদ্ধে অপরাধের সন্দেহে নয়, বরং নিয়মিত যাচাইয়ের অংশ হিসেবে এই তথ্য ব্যবহার করা হবে।

এ ছাড়া সরকার ঘোষণা করেছে— অপরাধ তদন্তে সার্চ ও সিজার ক্ষমতা, পূর্বে ভাতা নেওয়া কিন্তু ফেরত না দেওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ আদায়, ব্যাংকগুলোকে সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করতে বাধ্য করা, এবং ভবিষ্যৎ জরুরি অবস্থায় জালিয়াতি ঠেকাতে বিশেষ অস্থায়ী ক্ষমতা চালু করার পরিকল্পনা।

সরকার বলছে, এগুলো হচ্ছে জনগণের ট্যাক্সের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার নিশ্চিত করার অংশ, এবং প্রতিটি পদক্ষেপেই উপযুক্ত পর্যবেক্ষণ ও সীমাবদ্ধতা থাকবে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়