বুধবার , ১৫ অক্টোবর ২০২৫

ডেস্ক নিউজ

প্রকাশিত: ১৯:০৭, ৬ অক্টোবর ২০২৫

সাধারণ কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশ-সৌদি আরবের ঐতিহাসিক চুক্তি

সাধারণ কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশ-সৌদি আরবের ঐতিহাসিক চুক্তি

সৌদি আরবে সাধারণ কর্মী প্রেরণে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) রিয়াদে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়, যা দুই দেশের শ্রমবাজার সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং সৌদি আরবের মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ বিন সোলাইমান আল-রাজী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

 

এটি সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরের ইতিহাসে সাধারণ কর্মী নিয়োগসংক্রান্ত প্রথম আনুষ্ঠানিক চুক্তি। এর আগে শুধুমাত্র গৃহকর্মী বা নির্দিষ্ট খাতে কিছু চুক্তি হলেও সাধারণ শ্রমিকদের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি ছিল অনানুষ্ঠানিক।

 

চুক্তির ফলে এখন থেকে দক্ষ, আধা-দক্ষ ও সাধারণ কর্মীদের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে আরও স্বচ্ছ, নিরাপদ ও নিয়মিত। প্রশিক্ষণ, স্কিল সার্টিফিকেশন, আকামা নবায়ন, এক্সিট ভিসা ও কর্মপরিবেশের মানোন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করবে উভয় দেশ।

 

ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমরা দক্ষ কর্মী প্রেরণের আগে প্রশিক্ষণ ও স্কিল সার্টিফিকেশন নিশ্চিত করব। এতে সৌদি আরব আরও গুণগত শ্রমশক্তি পাবে।

 

জবাবে সৌদি মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার অংশীদার। এই চুক্তি মানবসম্পদ উন্নয়নের এক নতুন অধ্যায় শুরু করবে।

 

এ চুক্তির আওতায় নারী কর্মীদের সুরক্ষা, অবৈধ দালালচক্র দমন, যৌথ মনিটরিং সিস্টেম, এবং ডিজিটাল যাচাইকরণ প্ল্যাটফর্ম চালুর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। সৌদি আরবে বাংলাদেশি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং অনলাইন ডেটা প্ল্যাটফর্ম গঠনের কথাও জানানো হয়।

 

বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ২৭ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন, যারা প্রতিবছর প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। মন্ত্রণালয় আশা করছে, এই চুক্তির ফলে আগামী দুই বছরে প্রবাসী কর্মীর সংখ্যা ২০% বাড়বে।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তি কেবল রেমিট্যান্স বাড়াবে না, বরং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ও শ্রমবাজারে অবস্থান আরও সুদৃঢ় করবে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়