‘নিজেদের ভুল-ব্যর্থতাকে স্বীকার করতে না পারাই প্রায়ই বিপর্যয়ের কারণ’

দুর্নীতিবাজদের গায়ে গন্ধ , মুখেও দুর্গন্ধ, চেহারা সুরত চুরের মত। তারা ভালো মানুষের সংস্পর্শে আসতে চায় না। ভালো মানুষের সংস্পর্শে এসে তারা সৎ সাহস নিয়ে কথা বলতে পারে না। তাদের মনে সব সময় পুলিশ পুলিশ বলেছেন দ্য সিলেট পোস্টের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম।
আমেরিকান লেখক ড্যান ব্রাউন লিখেছেন, কোনও রাজনীতিকের অহংকারকে কখনই দমাতে যাবেন না।
এই কথার মানে হলো, অনেক সময় রাজনীতিবিদদের অহংকার ভাঙতে গেলে তারা নিজেদেরকে আরও বেশি শক্তিশালী করে তোলে। তাই তাদের অহংকারকে সরাসরি দমাতে না গিয়ে অন্য কোনো উপায়ে তাদের নীতি বা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কাজ করা উচিত। আওয়ামী লীগকে হটাতে লেখকের এই উক্তি আর A meticulous design plan এক হয়ে কাজ করছিল বোধহয়।
রাজনীতি থেকে নীতি হারিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের ভুল ও ব্যর্থতাকে স্বীকার করতে না পারাই অনেক সময় বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রাজনীতিতে পাওয়ার এক্সারসাইজড" একজন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ক্রিয়াকলাপ, বিশ্বাস বা অন্যের আচরণকে প্রভাবিত বা পরিচালনা করার ক্ষমতা বোঝায়।
পাওয়ার অনুশীলন বাংলাদেশের রাজনীতির এখন দৃশ্যত মূল সরঞ্জাম।
সবাই আওয়ামীলীগ করতো, কিন্তু লুটেপুটে খেয়েছে হাতেগোনা কিছু দুর্বৃত্ত! তাই দলের দুর্দিনে দুর্বৃত্তরা পালিয়েছে। আওয়ামী লীগ করতেন, ভালো মানুষ ছিলেন তারা হয়েছেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। নিজের পকেটের টাকা খরচ করে যারা রাজনীতি করতো তারা পড়েছেন বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে। আর নিবেদিত
দলের সহজ সরল সাধারণ কর্মীরা নীরব ভূমিকা পালন করছে। তাদের অভিমান আমরাতো আর দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না। এটা বোধহয় নিরবে নিবৃত্তে দলের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সাধারণ কর্মীর ঘৃণা।
যে কোনো রাজনৈতিক দলের সকল মানুষ একই সাথে দুর্নীতিবাজ সেটা আমি বিশ্বাস করি না। আওয়ামী লীগের সময়কালে কিছু নীতি-নৈতিকতাহীন দুর্বৃত্তরা দুর্নীতিকে উৎসবে রূপান্তরিত করেছিল। সারা দেশের চিত্র হয়ে উঠেছিল ভয়াবহ, বড় বোয়াল থেকে ছোট বোয়ালদের লাফালাফি ছিল দৃশ্যমান। বিশেষ করে স্থানীয় পাতি নেতাদের হই-উল্লাসে জনজীবন হয়ে উঠেছিল দুর্বিষ।
স্থানীয় কিংবা জাতীয়ভাবে এই দুর্বৃত্তরা এমন কোন অপকর্ম নাই যেটা তারা করে নাই। স্কুল কলেজ মসজিদ মাদ্রাসা, এমনকি গরিবের জন্য সরকারি বরাদ্দ তারা আত্মসাৎ করেছে। অসহায় দরিদ্র মানুষকে জন্য বরাদ্দকৃত ১০ কেজি চাল থেকে তারা ৩ কেজি পর্যন্ত মেরে মেরে দিত, ওজনে। এই দানবগুলো কবরস্থান সংস্কারের বরাদ্দের ঢাকা পর্যন্ত খেয়ে ফেলত।
এই কাজগুলো তারা একটা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে করত। এই শালারা এতটাই নাস্তিক তাদের ৩ টাকার নেতা
মসজিদ মাদ্রাসার বরাদ্দ আত্মসাৎ করার পরেও তারা তারে #আব্বা সম্বোধন করতো, এখনও করে। তাদের সামান্যতম ঘৃণা জন্মেনি নেতা নামের এই খাতাশদের প্রতি। চোরে চোরে মাসাতো ভাই। উল্লেখিত চিত্র ছিল সারা দেশের,যা ছিল প্রতিদিনের খবর শিরোনাম। কেহ নিজের উপরে এই চিত্রকে চাপাইয়া আত্মহত্যা করিয়েন না।
নির্লজ্জ মানুষের আত্মহত্যা করার ঝুকি সীমিত। এই সমস্ত অপকর্মের বিরুদ্ধে আমরা সব সময় কথা বলেছি। প্রতিটি অন্যায় অনিয়মে ভয়েস rise করেছি। চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী। তাদের এহেন অপকর্ম নিয়ে সাধারণ এবং নিবেদিত কর্মীরা যতই চিল্লাচিল্লি করুক, এতে তারা কর্ণপাত করত না। এই দুর্বৃত্ত গুলোর স্বভাব চরিত্র আমাদের সিলেটি ভাষায় অনেকটা "#গো খাওরা গরুর মত হয়ে উঠেছিল।
মানব জীবনে দুঃখ দুর্দশার পেছনে কিছু কারণ থাকে ।নিজেদের দ্বারা সংঘটিত মন্দ কাজের রিভিউ প্রয়োজন। ইহা মানব জীবনের গুণগত মান উন্নয়নের বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
আওয়ামী লীগ দলের নেতা কর্মী, স্বঘোষিত পাতিনেতা, রাজনীতি করে যারা জীবিকা নির্বাহ করতো তাদের পেটের আকার অনেক বড় হয়ে গিয়েছিল। অনেকের পেটের সাইজ ছোট হওয়া শুরু হয়েছে। এরা এতটাই অপকর্ম করেছে যে, সরকার পতনের পর লেজ সোজা করে সাধারণ কর্মীদের পেছনে ফেলে নির্লজ্জের মত শুধু এলাকার ছাড়ে নাই, দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আর যারা নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে রাজনীতি করতো. দলের জন্য নিবেদিত ছিল- তারা সাহস করে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দেশেই রয়েছে। ত্যাগী আর পলাতকের মধ্যে পার্থক্য এখানেই।
দুর্নীতিবাজদের গায়ে গন্ধ , মুখেও দুর্গন্ধ, চেহারা সুরত চুরের মত। তারা ভালো মানুষের সংস্পর্শে আসতে চায় না। ভালো মানুষের সংস্পর্শে এসে তারা সৎ সাহস নিয়ে কথা বলতে পারে না। তাদের মনে সব সময় পুলিশ পুলিশ। তাই তারা ভালো মানুষের চাইতে দূরে থেকে নিজেদের মধ্যকার সিন্ডিকেট তৈরি করে। এরা একটি দেশ, একটি রাজনৈতিক দল, একটা কমিউনিটির শত্রু। এদের মধ্যে দেশ প্রেমের যথেষ্ট অভাব রয়েছে যা তাদের মাধ্যমে সম্পাদিত ক্রিয়াকর্মের মাধ্যমে প্রমাণিত।