বুধবার , ০২ জুলাই ২০২৫

ডেস্ক নিউজ

প্রকাশিত: ১৫:১০, ২২ জুন ২০২৫

পরীক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিপেক্ষ

পরীক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিপেক্ষ
ছবি: সংগৃহীত

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সবাইকে সনদ প্রদানের দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীদের ওপর জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ। রোববার (২২ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের এলাকায় এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

সকাল ১১টা থেকেই প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবিভাইভায় অংশ নেওয়া সব প্রার্থীকে পাস করিয়ে দ্রুত শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিতে হবে। কিন্তু পুলিশ ওই এলাকায় অবস্থান নেওয়া প্রার্থীদের বারবার সরিয়ে দিতে অনুরোধ করলেও তারা স্লোগান ও প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে থাকেন।

একপর্যায়ে সকাল ১১টা ২৩ মিনিটে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। পাশাপাশি ছোড়া হয় সাউন্ড গ্রেনেডও। এতে ঘটনাস্থলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, অনেকে দৌড়ে পালাতে শুরু করেন। পুলিশের এই ব্যবহারে আহত হয়েছেন কয়েকজন প্রার্থী বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তারা। কিন্তু ভাইভা শেষে ফলাফলে দেখা যায়, রেকর্ডসংখ্যক ২০ হাজার ৬৮৮ জন প্রার্থীকে ‘ফেল দেখানো হয়েছে। তাদের অভিযোগএটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কারসাজি। এতে এনটিআরসির (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) হাত রয়েছে।

 

সুনামগঞ্জ থেকে আন্দোলনে অংশ নিতে আসা প্রার্থী রাজিবুল ইসলাম বলেন, “৩১ তারিখে ভাইভা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ৪ তারিখেই ফল প্রকাশ করে এনটিআরসি। অথচ অনেকেই ভাইভায় অংশ নেওয়ার সুযোগই পাননি। এভাবে কীভাবে ফল প্রকাশ হতে পারে? এটার পেছনে যে গভীর ষড়যন্ত্র আছে, সেটা বলাই বাহুল্য। আমরা এ ফলাফল মানি না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করে সনদ দিতে হবে।

আন্দোলনকারী প্রার্থীরা জানান, তারা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা চান না। দাবি আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের আচরণে তারা ক্ষুব্ধ ও হতাশ।

 

এই ঘটনার পর আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকে তিনজন প্রতিনিধিকে নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসা হয়। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আলোচনার কোনো ফলাফল জানা যায়নি।

এ বিষয়ে এনটিআরসির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়