আ. লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখন ‘পাবলিক টয়লেট’

এক সময়ের রাজনৈতিক শক্তির প্রধান কেন্দ্র, রাজধানীর গুলিস্তানে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় আজ পরিণত হয়েছে এক ধ্বংসস্তূপে। চার মাস আগেও যেখানে প্রবেশের জন্য লবিং করতে হতো, আজ সেখানে দুর্গন্ধের কারণে সামনের পথ দিয়ে চলাফেরা করাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
১০ তলা ভবনের বাইরের দেয়ালে পুড়ে যাওয়া ধ্বংসের ছাপ স্পষ্ট। স্টিলের তৈরি নামফলক বিক্ষুব্ধ জনতা খুলে ফেলেছে। ভবনের পূর্ব পাশের অংশও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কার্যালয়ের নিচতলা এখন মাদকসেবীদের আড্ডাখানা এবং পাবলিক টয়লেটে রূপ নিয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, ভবনটির বর্তমান অবস্থা দেখে রাজনৈতিক দাপটের দিনগুলো কল্পনাও করা যায় না। রিকশাচালক থেকে শুরু করে সাধারণ পথচারী, সবাই ক্লান্তি দূর করতে এখানে বিশ্রাম নেয়। কখনো কখনো খেলাধুলাও চলে ভবনের ফাঁকা তলায়। আবার কেউ কেউ ভবনের রড কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা সোলায়মান বলেন, “ভবনের সবকিছু চুরি হয়ে গেছে। এখন রড কেটে নিয়ে যাচ্ছে লোকজন। এরকম ভবন আর রাজনৈতিক ক্ষমতার চিহ্ন রইলো না।”
পথচারী শরীফুল ইসলাম বলেন, “আওয়ামী লীগ যে কর্ম করেছে, তারই ফল ভোগ করছে। এখান থেকেই তারা নির্যাতনের পরিকল্পনা করতো। এখন তাদের ভবনের এই দশা দেখে মনে হয়, জনগণ তাদের বিচার করেছে।”
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে ভবনটি আর সুরক্ষিত ছিল না। সেদিনই দলের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। সারাদেশে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে চালানো হয় ব্যাপক ভাঙচুর।