শুক্রবার , ১১ জুলাই ২০২৫

ডেস্ক নিউজ

প্রকাশিত: ২৩:০১, ২৩ জুন ২০২৫

যুক্তরাজ্যে ঘর কেনায় বাজেট অনিশ্চয়তা

যুক্তরাজ্যে ঘর কেনায় বাজেট অনিশ্চয়তা
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্য সরকারের ঘোষিত ৩৯ বিলিয়ন পাউন্ড হাউজিং তহবিল ঘিরে প্রশ্ন ও উদ্বেগ বাড়ছে মর্টগেজ ও প্রপার্টি অর্থায়ন খাতে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বাজেট পরিকল্পনায় নেই কোনো সুস্পষ্ট সময়সীমা কিংবা প্রথমবারের ক্রেতাদের জন্য সরাসরি সহায়তার দিকনির্দেশনা। এতে করে তরুণদের জন্য বাড়ি কেনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

 

সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, বরাদ্দের বড় অংশই যাচ্ছে সামাজিক ভাড়াবাড়ির প্রকল্পে। এতে মর্টগেজ-নির্ভর বা মধ্যবিত্ত শ্রেণির ঘর কেনার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়ছে।

 

সিটি ইন্টারন্যাশনাল -এর সিইও স্যার ড. আনাম উল ইসলাম বলেন, “হাউজিং খাতে ‘হেল্প টু বাই’ -এর মতো একটি কার্যকর সহায়তা প্রত্যাশা করেছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, চ্যান্সেলর বরাদ্দ দিয়েছেন মূলত ভাড়াভিত্তিক আবাসনের দিকেই।”

 

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাজ্যের সরকারি আবাসন সংস্থা হোমস ইংল্যান্ড যেখানে বছরে গড়ে ২.১ বিলিয়ন পাইন্ড তহবিল পেয়ে থাকে, সেখানে নতুন ঘোষণায় অতিরিক্ত বরাদ্দ মাত্র ১.৮ বিলিয়ন পাইন্ড। সেটিও মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত সীমিত।

 

তাদের আশঙ্কা, ২৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সী যারা প্রথমবারের মতো বাড়ি কিনতে চান, তারা এই বাজেট পরিকল্পনায় উপেক্ষিত। ফলে ভবিষ্যতে মর্টগেজ আবেদন কমে যেতে পারে এবং ঋণ সরবরাহ ব্যবস্থায়ও চাপ সৃষ্টি হতে পারে।

 

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ১২টি নতুন শহর গড়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত এসব প্রকল্পের জন্য আলাদা কোনো অর্থ বরাদ্দ বা রূপরেখা প্রকাশ করা হয়নি। বরং ভায়াবিলিটি যাচাইয়ের ধীর গতির কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নেও স্থবিরতা দেখা যাচ্ছে।

 

এক মর্টগেজ ব্রোকার মন্তব্য করেন, “সরকার বলছে, তহবিল ঘাটতি বেসরকারি বিনিয়োগ দিয়ে পূরণ করা হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—হোমওনারশিপ নিয়ে কোনো স্পষ্ট পথনির্দেশই দেওয়া হয়নি। এটি পরিকল্পনার চেয়ে বিশৃঙ্খলার কাছাকাছি।”

 

তিনি আরও বলেন, “একচেটিয়াভাবে অ্যাফোর্ডেবল ভাড়ার দিকে নজর দিয়ে সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শুধু ভাড়ার নির্ভরশীলতায় আটকে রাখছে। এর ফলে হাউজিং খাতে দীর্ঘমেয়াদি অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে।”

সর্বশেষ

জনপ্রিয়