তাপপ্রবাহে পুড়ছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস, বজ্রঝড়ের আশঙ্কা
যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ড ও ওয়েলসজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর মেট অফিস আনুষ্ঠানিকভাবে এ তাপপ্রবাহের ঘোষণা দেয়। ওই দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার ও রোববার তাপমাত্রা আরও বেড়ে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। বিশেষ করে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে অতিরিক্ত গরম পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, যদিও পশ্চিমাঞ্চলে কিছুটা ঠাণ্ডা বাতাস প্রবেশ করতে পারে।
এই তাপপ্রবাহের মধ্যেই নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে মেট অফিস। উত্তর ইংল্যান্ডে শনিবার বিকেল থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত বজ্রঝড়, শিলাবৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। নটিংহাম থেকে নিউক্যাসল পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে হলুদ সতর্কতা বলবৎ থাকবে। সম্ভাব্য দুর্যোগের মধ্যে রয়েছে আকস্মিক বন্যা, রাস্তায় পানি জমে যাওয়া এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
এর আগে বৃহস্পতিবার, পশ্চিম লন্ডনের কিউ এলাকায় তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পরদিনই যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা (ইউকেএইচএ) ইংল্যান্ডজুড়ে অ্যাম্বার সতর্কতা জারি করে, যা সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
ইউকেএইচএ জানিয়েছে, অতিরিক্ত গরমে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী এবং আগে থেকে অসুস্থ মানুষদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। এই অবস্থায় সতর্কতার জন্য জনগণকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, গরমের কারণে পানিতে নেমে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বেড়েছে। রয়্যাল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব অ্যাকসিডেন্টস (আরওএসপিএ) হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, গরম আবহাওয়ায় নদী ও হ্রদে সাঁতারের প্রতি আকৃষ্ট হলেও, অনেক সময় পানির তাপমাত্রা বিপজ্জনক ঠাণ্ডা থাকে। এতে হঠাৎ শক লেগে প্রাণঘাতী পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
আরওএসপিএর কর্মকর্তা স্টিভ কোল বলেন, “এখন তাপমাত্রা শুধু ছুটির দিনের উপভোগ নয়, এটি একটি ক্রমবর্ধমান জনস্বাস্থ্য সংকটে পরিণত হয়েছে। সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।”
আরও বিস্তারিত জানাতে পারি তাপদাহজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বা বজ্রঝড় সতর্কতার প্রভাব নিয়ে।
