টাঙ্গাইল চলন্ত বাসে ফের ডাকাতি, নারীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ

টাঙ্গাইলে আবারো চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় লুটপাটের পাশাপাশি নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ৪০ জন যাত্রী নিয়ে আল ইমরান বাসটি রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে রংপুরে যাচ্ছিলো। তাদের মধ্যে ১১ জন নারী যাত্রী ছিল। পথে আবদুল্লাবপুর, বাইপাইল ও সাভারের নরসিংহপুর থেকে আরো কয়েকজন যাত্রী উঠেন। রাত ১১টা দিকে ৮ থেকে ৯ জনের একটি দল দেশি অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
এ সময় বাস চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। পরে যাত্রীদের কাছে থাকা টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ভোর ৫টার দিকে টাঙ্গাইল বাইপাসের শিবপুরে বাসটি রেখে পালিয়ে যায় তারা। পরে ৯৯৯ এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল যায় এবং বাসটি জব্দ করা হয়।
মো. আফাজ উদ্দিন নামে এক যাত্রী বলেন, ‘ডাকাতদের মধ্যে একজন ড্রাইভার ছিল। সে বাস চালায়। বাকি ডাকাত আমাদের হাত, পা, চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। তারপর সবার কাছ থেকে সব কিছু লুট করে। এক নারী যাত্রী বলেন, ‘ডাকাতরা আমাদের নাক, কান ও গলার গয়না ছিনিয়ে নেয়।’
অপর যাত্রী জুয়েল মিয়া জানান, তাঁর চোখ-মুখ বাঁধা ছিল। তিনি নারী যাত্রীদের কান্নাকাটি ও কাকুতি-মিনতি শুনতে পান। টাকা-গয়না ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নারী যাত্রীদের তল্লাশির সময় শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে বলে তিনি জানান।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এইচ এম মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী বলেন, ‘এ ঘটনায় বাসের মিনু মিয়া বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৮ থেকে ৯ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় শ্লীলতাহানী কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ডিবি ও সদর থানা পুলিশসহ একাধিক টিম ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।’
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। চলন্ত বাসে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি শেষে একই জায়গায় বাসটি ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়ে ভোর ৪টার দিকে ডাকাতরা নেমে যায়। এ সময় ডাকাতি ছাড়াও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন যাত্রীরা।