দেশে আয় করে প্রবাসে গা ভাসাচ্ছেন যেসব তারকা

দেশের বিনোদন জগতে তাঁরা ছিলেন পরিচিত মুখ। কেউ সিনেমায়, কেউ গান বা নাটকে করেছেন একসময় রাজত্ব। দেশের দর্শকদের ভালোবাসায় তারা পেয়েছেন খ্যাতি ও অর্থ। কিন্তু জনপ্রিয়তার শিখরে উঠে একসময় দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান প্রবাসে। এখন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল জীবন। দেশে উপার্জিত অর্থ প্রবাসেই ব্যয় করায় সমালোচনাও উঠেছে অনেকের বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি শাবানা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। একই দেশে আছেন টনি ডায়েস, প্রিয়া ডায়েস ও তাদের মেয়ে অহনা। নাট্যজন শামীম শাহেদ ও শামসুল আলম বকুলও সেখানেই নাটক চর্চা অব্যাহত রেখেছেন। তৌকীর আহমেদ ও বিপাশা হায়াত সন্তানের পড়াশোনার জন্য আমেরিকায় থাকলেও নিয়মিত দেশে আসা-যাওয়া করেন। মডেলিংয়ের রানী মোনালিসা ও সংগীতশিল্পী এসআই টুটুলের মতো তারকারাও সেখানকার বাসিন্দা।
কানাডায় বসবাস করছেন গায়ক আশিকুজ্জামান টুলু, অভিনেতা আরিফুল হক ও কাজী উৎপল। অস্ট্রেলিয়ায় পাকাপোক্ত হয়েছে শাবনূরের জীবন। সাবিনা বারী লাকী ও মাজনুন মিজানও সেখানে স্থায়ী হয়েছেন।
সুইডেনে থাকেন চিত্রনায়িকা তামান্না ও ইমরান। লন্ডনে অভিনেতা স্বাধীন খসরু, কানাডায় শ্রাবস্তী তিন্নি ও অগ্নিলার মতো শিল্পীরা স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন কাটাচ্ছেন।
অনেকে প্রবাসে থেকেও শিল্পচর্চা ও সংস্কৃতির সাথে যুক্ত রয়েছেন। শামসুল আলম বকুল বলেন, "জন্মভূমিকে ভোলা যায় না। এখানেও নাটক করি, ভালোবাসা থেকেই।" সংগীতশিল্পী কাদেরী কিবরিয়া একুশে পদক নিতে দেশে এসে বলেছিলেন, "সবাইয়ের ভালোবাসায় ভালো আছি, তবু দেশ মনে পড়ে।"