দোহার-নবাবগঞ্জে এখনও চলে ফ্যাসিস্টদের দোসরদের নীল নকশাভিত্তিক ব্যবসা

ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১ আসন। এখানে দোহার উপজেলায় বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যারা সরকারের প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিক ভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠান চালিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই এখনও একই কায়দায় ব্যবসা কিংবা সামাজিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।
জয়পারা বাজারের ‘প্রতিভা এন্টারপ্রাইজ’ এর সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মোহাম্মদ মেহেদী আরিফ এবং তার ভাই তারেক রাজিব।
মেহেদী আরিফ একজন অপসাংবাদিক। এছাড়াও তিনি এক সময়ের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তিনি দলের সাবেক সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ঠ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রয়াত সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ-এর পরিবারের অত্যন্ত কাছের আত্মীয়।
তারেক রাজিব প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্ট দায়িত্বে আছেন, তিনি একটি সরকারি কলেজের শিক্ষক এবং দোহার প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি। এটা জানা গেছে যে—যদিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক দুই ভাই, প্রতিষ্ঠানের আয়ের অংশ নির্মল রঞ্জন গুহের পরিবারের কাছে যায় বলে দাবি করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অধরা অভিযোগের মতে, প্রায় পাঁচ-ছয় বছর আগে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ পাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ‘প্রতিভা এন্টারপ্রাইজ’ বিস্তার লাভ করে। তারপর থেকে বিকাশের ভিতরে হুন্ডি এবং মানি লন্ডারিংয়ের কাজও চলছে—যা অনেকে ‘অন্তরালে’ পরিচালিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও এক ব্যক্তি বলেন, বিকাশের সময় লেজিতিমাসি বলে কিছু নেই—সেখানেই চলে যায় হুন্ডির চক্র। পুরো পেমেন্ট সিস্টেমটা রুখে দেয়ার ঊর্ধ্বতন সহায়তা উপলব্ধ আছে।
এই অভিযোগের বিষয়ে মোহাম্মদ মেহেদী আরিফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যাননি।
সরকারি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণাধীন এমন ব্যবসায়িক গতি-প্রকৃতির উপর নিয়মনীতি প্রয়োগে আবারো ফেরার শঙ্কা স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে। জোরালো প্রতিবাদের সূচনা না হলে অনৈতিক এই প্রক্রিয়া চলতে থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।